ইন্দুরকানীতে যুবকের বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন : দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে মো. ছগির হাওলাদার (৩২) নামে এক যুবকের বাম পা কেটে বিচ্ছিন্নের ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার রাতে আহত ছগিরের বড় ভাই আ. জলিল হাওলাদার বাদি হয়ে অভিযুক্ত দুইজনের বিরুদ্ধে ইন্দুরকানী থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন- উপজেলার পত্তাশী ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত মো. শামসুল হক হাওলাদারের ছেলে মো. কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার স্ত্রী নারগিস আক্তার (২৭)।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে ছগির হাওলাদার তার ব্যবসার পাওনা টাকা কামরুলের কাছে চায়। পরে কামরুল উত্তেজিত হয়ে ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে ছগিরের শরীরের বিভিন্ন জাগায় কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। কোপে ছগিরের বাম পা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আহত ছগির উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ফজলুল হক হাওলাদারের ছেলে।
মামলার বাদি আ. জলিল হাওলাদার জানান, রাতে একই এলাকার কামরুলের কাছে ছোট ভাই ছগির তার পাওনা টাকা চায়। পরে কামরুল তার বাড়িতে ছগিরকে ডেকে নিয়ে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে বাম পা বিচ্ছিন্ন করে রাস্তায় ফেলে যায়।
ইন্দুরকানী থানার ওসি মো. কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, ছগির হাওলাদাকে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত কামরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী নারগিস আক্তারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।