প্রধান সূচি

খালাতো ভাইকে হত্যার দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত খালাতো ভাইকে হত্যার দায়ে মো. তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে। এছাড়া লাশ গুম করার অপরাধে ৭ বছরের কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১ মাসের কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহা: মহিদুজ্জমান আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষনা করেন।
দন্ডপ্রাপ্ত মো. তরিকুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদ উপজেলার উত্তর করফা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে। একই আদালত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় যাবজ্জীবন কারাদন্ড তরিকুলের পিতাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৩ মে সন্ধা ৭টার দিকে আসামী তরিকুল তার আপন খালাতো ভাই ও এ মামলার বাদী একই এলাকার মো. আব্দুল জব্বারের ছেলে জাফরকে আসামীর বোন জান্নাতকে পড়ানোর অজুহাতে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করার পর লাশ গুম করার জন্য পাশ^বর্তী মালেক বেপারীর ডোবায় ফেলে দেয়। এদিকে জাফরকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে তার পিতা পরের দিন ২৪ মে নেছারাবাদ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। ঘটনার ৭ মাস পর স্বাক্ষী জামাল, আজিজুল ও আক্তার মাছ ধরার জন্য মালেক বেপারীর এ ডোবার পানি সেচে ফেললে নিহতের মাথার খুলি ও কঙ্কাল বেরিয়ে আসে। এ খবর পেয়ে পুলিশ এসে কঙ্কাল ও মাথার খুলি উদ্ধার করে ডিএনএ টেষ্ট করে। পরে রিপোর্টে কঙ্কালটি নিহত জাফরের বলে প্রামানিত হলে পুলিশ দীর্ঘ তদন্ত শেষে তরিকুলকে অভিযুক্ত করে চার্জসীট এবং অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তার পিতা ২নং আসামী বাদশা মিয়াকেকে ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করে।
রাষ্ট্র পক্ষে পিপি খান মো. আলাউদ্দিন এবং আসামী পক্ষে এডভোকেট সরদার নূরুল ইসলাম শাহজাহান মামলাটি পরিচালা করেন।






উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.