স্বরূপকাঠিতে স্বামীর হাতের কব্জি কর্তন ॥ স্ত্রী গ্রেফতার
পিরোজপুরের নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) উপজেলার বালিহারীতে স্বামীর হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করার ঘটনায় স্ত্রী মুর্শিদাকে গ্রেফতার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। দুই হাতের কব্জি হারানো জাহারুল ইসলামের বড় বোন পারভীন বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠি) থানার ওসি আবীর মোহাম্মদ হোসেন জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে জাহারুল ইসলামের স্ত্রী মুর্শিদাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালতে জবানবন্ধি না দেওয়া পর্যন্ত তার দেওয়া তথ্য প্রকাশ করা যাবে না। তবে পুলিশের কাছে ঘটনার বিষয়ে সে তথ্য দিয়েছে।
এদিকে, বরিশাল শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি জাহারুল ইসলাম তার মায়ের মোবাইল ফোনের (০১৩১৩৫১১৯৩৪) মাধ্যমে বলেন, ঘটনার সময় রাত সাড়ে ১১ কি ১২ টা হবে। ঘরে ঢুকে ভাত খাই। ঝিংগা তরকারী অত্যন্ত অত্যন্ত তেতো সামান্য খেয়ে কেমন যেন লাগছিল। এসময় বিছানায় বসে পড়ি তখন ৩ জন লোক ঘরে ঢুকে। সবাই মুখোশ পড়া। আমার ঘুমের অবস্থা এমন ছিল যে আমার কোন জ্ঞান ছিল না। পরবর্তীতে শুক্রবার স্বরূপকাঠি হাসপাতালে আমার চাচার ডাকে সামান্য চেতনা আসে। আমার স্ত্রী খুবই দুর্দান্ত মহিলা। বিগতদিনে তারপক্ষ হয়ে ইলুহার এলাকার কিছু লোকজন আমাকে মারধর করেছে এবং প্রায়ই হুমকি দিত।
সরেজমিনে জাহারুলের বাড়ি গেলে প্রতিবেশি ঘরের নারীরা জানান, জাহারুল স’ মিলে লেবারের কাজ করতো। একদিন কাজ করলে তিনদিনেও আর সে কাজে যেত না। সংসারে অভাব অনটন লেগেই রযেছে। জাহারুল তার স্ত্রী মুর্শিদাকে প্রায়ই মারধর করতো। কিছুদিন পূর্বে মুর্শিদা বাড়ি ছেড়ে পিতার বাড়ী চলে গিয়েছিল। মুর্শিদার বাবার বাড়িতে পাওয়া সামান্য জমি বিক্রি করে আনার জন্য চাপ দিত।
তারা জানান, ঘটনার পর থেকে রাতাবধি পুলিশ বিচ্ছিন্ন করা হাত দুই খানা উদ্ধারের লক্ষে বিভিন্ন ডোবা নালায় তল্লাশি চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, স্বরূপকাঠিতে বৃহস্পতিবার রাতে পারিবারিক কলহে দুই হাতের কব্জি হারান জাহারুল ইসলাম।