গায়ে আগুন দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
বাগেরহাট প্রতিনিধি :
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে নূপুর বেগম (২০) নামে এক গৃহবধূ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
সোমবার রাতে মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ঘষিয়াখালি গ্রামে মোঃ অলি শরীফের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে কী কারণে ওই গৃহবধূ গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তা পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
নূপুর বেগম উত্তর ফুলহাতা গ্রামের নাছির জমাদ্দারের মেয়ে এবং ঘষিয়াখালি গ্রামের মোঃ সোলায়মান শরীফের স্ত্রী।
নিহতের পরিবার জানায়, কয়েক মাস আগে স্বামী সোলায়মানের বাড়ির এক বস্তা চাল চুরি হয়। ওই চাল চুরির জন্য তাদের মেয়ে নুপুরকে স্বামীর পরিবার মিথ্যা দোষারোপ করে আসছিল। এই ঘটনায় হয়ে তাদের মেয়েকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করে তা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে।
বহরবুনিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহিদুল ইসলাম খলিফা জানান, প্রেমের সম্পর্ক ধরে ২০১৬ সালের ২৩ মার্চ মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ঘষিয়াখালি গ্রামের মোঃ অলি শরীফের ছেলে মোঃ সোলায়মান শরীফের সঙ্গে পাশের উত্তর ফুলহাতা
গ্রামের নাছির জমাদ্দারের মেয়ে নুপুরের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের সংসার ভালই চলছিল। হঠাৎ করে ৪-৫ মাস আগে নুপুরকে ঘরের চাল চুরির অপবাদ দেয় তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন। এই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে প্রায় কলহ লেগেই থাকত।
এরই জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অনুপস্থিতে নুপুর ঘরের দরজা বন্ধ করে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে প্রতিবেশিরা ঘরে আগুন দেখতে পেয়ে আমাকে খবর দেয়। আমি দ্রুত ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় নুপুরকে ঘরের মেঝেতে দেখতে পাই। তার শরীরের অধিকাংশ পুড়ে গেছে। পরে স্থানীয় শল্য চিকিৎসককে ডেকে আনলে তিনি নুপুরকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের শ্বশুর মোঃ অলি শরীফ বলেন, রবিবার বিকেলে আমার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে পার্শ্ববর্তী রামপাল উপজেলায় অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যায়। আমি ও আমার ছেলের বউ বাড়িতে ছিলাম। সোমবার বিকেলে আমি পাশের বাজারে গেলে সে ঘরের দরজা বন্ধ করে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে প্রতিবেশিদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাড়িতে এসে দেখি তার মৃত্যু হয়েছে।
বাগেরহাটে পুলিশ সুপার (এসপি) পঙ্কজ চন্দ্র রায় জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। তবে কি কারণে নুপুর আতœহত্যা করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
