প্রধান সূচি

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস

আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির দিন আজ। বাঙালি জাতির সবচেয়ে গৌরবের দিন, পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশবাসীকে। সেই ঘোষণার আলোকেই মরণপণ লড়াই এবং রক্তসমুদ্র পাড়ি দিয়ে বীর বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে জাতীয় ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা।
সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে দুইশ’ বছরের ব্রিটিশ-বেনিয়া শাসনের অবসানের পর দীর্ঘ বছর ধরে চলে বিজাতীয় ভাষাভাষী গোষ্ঠীর শাসন-শোষণ ও আগ্রাসন। ৪৭-এর দেশভাগের পর পাকিস্তানি শাসকদের নানা কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে বাঙালির সংগ্রামের চেতনার উন্মেষ ঘটতে থাকে। মাতৃভাষার দাবিতে ৪৮ সাল থেকে শুরু করে ৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারির রক্তদান, সংগ্রাম-আন্দোলন, ৫৪-এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনে মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে রায়, ৫৬-তে এসে সংবিধানে রাষ্ট্রভাষা বাংলার স্বীকৃতি আদায়, ৬২-এর শিক্ষা কমিশন আন্দোলন, ৬৬-এর ৬ দফার মধ্য দিয়ে বাঙালির মুক্তির সনদ ঘোষণা, ৬৯-এর ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট ফিল্ড মার্শাল আইয়ুব খানের বিদায় এবং ৭০-এ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয়ের ধারাবাহিকতায়ই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এসেছে স্বপ্নের স্বাধীনতা।
দিবসটি পালন উপলক্ষে পিরোজপুরে ২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ভাগীরথি চত্তরের শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের অনুষ্ঠানমালার সূচনা করা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
সকাল ৬টায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শন করা হবে। সকাল ৯ টায় জেলা জেলা স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে জেলা প্রশাসকের শুভেচ্ছা বিনিময় এবং সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা। সকাল সাড়ে ৯টায় জেলা স্টেডিয়ামে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে ক্রীড়া অনুষ্ঠান।
দুপুর ১টায় পৌরসভার সভাকক্ষে পৌরসভার পক্ষ থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে।
যোহর নামাজবাদ মসজিদসমূহে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত। দুপুরে জেলা কারাগার, হাসপাতাল এবং শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
বিকেল ৩টায় জেলা স্টেডিয়ামে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক নেতৃত্ব এবং দেশের উন্নয়ন’ বিষয়ক আলোচনা সভা এবং শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা ও ইফতার মাহফিল।






উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.