বর্তমান প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে …. ড. হারুন অর রশিদ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. হারুন অর রশিদ বলেছেন, বর্তমান প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানতে হবে, বঙ্গবন্ধুর ইতিহাস জানতে হবে। জাতির পিতার আদর্শের অনুসারীরা দুর্নীতিবাজ-অসৎ হতে পারে না। বাংলাদেশ সকলের দেশ, এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার স্থান নেই।
শুক্রবার দক্ষিণ জনপদের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ পিরোজপুর টাউন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠার ১০০ বছর পূর্তি উৎসব অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভিসি বলেন, মাধ্যমিক বিদ্যালয় হচ্ছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার শেকড়। দেশের প্রাচীনতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পিরোজপুর টাউন উচ্চ বিদ্যালয় আজ থেকে ১০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তৎকালীন বৃটিশ বিরোধী স্বদেশী আন্দোলনকারীরা। তাদের এই প্রচেষ্টা ছিল দেশপ্রেম প্রসূত। বর্তমান শিক্ষার্থীরা এই ইতিহাসের ধারকবাহক ও পতাকা বহণকারী বলে তারা ভাগ্যবান। শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যয় হচ্ছে বিনিয়োগ। যাকে বঙ্গবন্ধু বলতেন সর্বোৎকৃষ্ট বিনিয়োগ। আজকের বাংলাদেশের উন্নতির ভিত্তি হচ্ছে শিক্ষা। শিক্ষিতরা জাতির অগ্রবর্তী অংশ।
বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও পিরোজপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ হাবিবুর রহমান মালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বক্তব্য রাখেন প্রধান অতিথি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার, আওয়ামী লীগ নেতা ইসাহাক আলী খান পান্না, প্রাক্তণ ছাত্র ও আওয়ামী লীগের জেলা সহ-সভাপতি শাহজাহান খান তালুকদার, সাবেক প্রধান শিক্ষক কাজী মুজিবুর রহমান, প্রধান শিক্ষক আব্দুল করিম সরদার, সহকারী প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম, প্রাক্তণ শিক্ষার্থী মোজাম্মেল হক, প্রাক্তণ শিক্ষার্থী খালিদ আবু ও বর্তমান শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান।
শতবর্ষকে স্মরনীয় করে রাখতে উৎসব উদযাপন পরিষদ দিনভর নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সকাল থেকে চত্বরে বসে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা এবং বের করা হয় বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা।
জাতীয় পতাকা, বিদ্যালয় পতাকা ও উৎসব পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। শুরুতে বিদ্যালয়ের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতাবৃৃন্দ, শিক্ষকবৃন্দের স্মরণে শোক প্রস্তাব পাঠ করা হয়। এরপর অতিথি ও প্রাক্তণ শিক্ষকদের ক্রেষ্ট দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য দেন উৎসব কমিটির আহ্বায়ক এডভোকেট এম এ মান্নান।
বিকালে স্মৃতিচারণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উৎসবে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেন। উৎসব উপলক্ষে একটি স্মরণিকা প্রকাশিত হয়েছে।
