প্রধান সূচি

পাইকগাছায় আম বাগান মুকুলে ভরে গেছে

প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা :

শীতের শেষে ফাগুনে হাওয়ায় আম গাছের পল্লবে পল্লবে মুকুলে ভরে গেছে। সোনালি হলুদ রঙের মুকুলে ঢেকে গেছে গাছ। বাতাসে আমের মুকুলের মৌ মৌ গন্ধ। বাগান জুড়ে শুধু মৌমাছির গুঞ্জন। গাছে গাছে মুকুলের এ সৌন্দর্য আর মৌমাছির গুন গুন শব্দে সবার মন হারায়। মৌমাছি ফুলে ফুলে উড়ে মধু সংগ্রহ করে। আর এতে পরাগায়ন হচ্ছে ফুলের। প্রত্যাশিত ফলনের আশায় বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। কোথাও কোথাও এখনই আগাম বাগান কিনে রেখেছে ব্যবসায়ীরা।

এ বছর পাইকগাছা উপজেলার আম গাছে মুকুল কিছুটা দেরিতে এসেছে। আম চাষী গাছের প্রাথমিক পর্যায়ের পরিচর্যা শেষ করেছে। ভালো ফলন পেতে বাগান মালিক ও আম চাষীরা আম বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না ঘটলে আমের বাম্পার ফলনের আশা করছে আম চাষী ও বাগান মালিকরা। পাইকগাছা বড় আম বাগানের মালিক বিরাশির অখিলবন্ধু ঘোষ, সনাতন কাঠির আমিন সরদার, মোমিন সরদার, গদাইপুরের সামাদ ঢালী, মোবারক ঢালী, গোপালপুরের নজরুল ইসলাম, আবুল হোসেন জানান, তাদের বাগানে রূপালী, বোম্বাই লতা ও হিম সাগর, নেংড়া, রূপালীসহ উন্নত জাতের গাছের সংখ্যা বেশি।

বাগানের আম গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে এবং পরিচর্যা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছে। তারা ভালো ফলনের আশা করছে। পাইকগাছার কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুুনি, রাড়–লী ও পৌরসভা ছাড়া বাকী ইউয়িন গুলিতে সীমিত আমের গাছ রয়েছে। উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর জমিতে মোট আম গাছের সংখ্যা ১৪ হাজার ১’শ ৮০টি। তাছাড়া বিভিন্ন ইউনিয়নে ছড়ানো ছিটানো আম গাছ আছে। আম বাগান থেকে ২২ হাজার ১৮০ মেট্রিকটন আমের ফলন পাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এএইচএম জাহাঙ্গীর আলম জানান, এ বছর আম বাগানে প্রচুর পরিমাণ মুকুল ধরেছে। কৃষি অফিস থেকে উপ-সহকারী কর্মকর্তারা সার্বক্ষনিক আম চাষী ও বাগান মালিকদের আমগাছ পরিচর্যায় পরামর্শ দিচ্ছে। বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না হলে তিনি এ বছর আমের আশানুরূপ ফলনের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial