প্রধান সূচি

পিরোজপুরে সংসদ সদস্য শেখ এ্যানী রহমানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত

সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমানের প্রথম নামাজে জানাজা পিরোজপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পিরোজপুর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জানাজা নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে বুধবার রাত ৮ টায় সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমানের মরদেহ ব্যাংকক থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় এয়ার এম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে পিরোজপুর আনা হয়। পিরোজপুরের জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় পিরোজপুরের তার পৈত্রিক বাসায়। পরে এয়ার এম্বুলেন্সে করে আবার মরদেহ ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর ঢাকায় ২য় জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক ভাবে জানানো হয়েছে।
সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমানে প্রথম নামাজে জানাজায় মরহুমার স্বামী শেখ হাফিজুর রহমান টোকন, ছেলে শেখ খালিদ অরিন্দম তান, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি, সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, পিরোজপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান, পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম এ আউয়াল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার, পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান মালেক, সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ মো. শাহ আলম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রয়ি কমিটির সাবেক সাদারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী খান পান্নাসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ পিরোজপুরের হাজার হাজার শোকার্ত মানুষ অংশগ্রহন করেন।
জানাজার নামাজে ইমামতি করেন পিরোজপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি আব্দুল্লাহ আল মামুন।


উল্লেখ্য, সংসদ সদস্য শেখ এ্যানি রহমান গত মঙ্গলবার দুপুর ১.৪৬ মিনিটে ব্যাংককের বুমরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৬৩ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে ব্যাংককের এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শেখ এ্যানি রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চাচাতো ভাই বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য সচিব শেখ হাফিজুর রহমানের সহধর্মিনী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচি।
তাঁর পিতা এডভোকেট এনায়েত হোসেন খান ১৯৭০ সালে পিরোজপুর থেকে জাতীয় পরিষদ ও ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদের সদস্য হন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তিনি তৎকালীন পিরোজপুর মহকুমা আওয়ামী লীগের যথাক্রমে সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক তিনি পিরোজপুরের গভর্নর নিয়োজিত হয়েছিলেন।






উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.