প্রধান সূচি

স্বাধীনতা বিরোধী চক্র চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে নি:শেষ করে দিতে, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দিতে : মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এমপি বলেছেন, ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী চক্র চেয়েছিল বঙ্গবন্ধু’র আদর্শকে নি:শেষ করে দিতে। তারা চেয়েছিল আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করে দিতে। তাই তারা ১৫ আগষ্ট কালরাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবারের সকলকে নির্মমভাবে হত্যা করে। আর সেদিন এ হত্যাকান্ডের সাথে জিয়াউর রহমান জড়িত ছিল। বিদেশী কুচক্রি মহলের সহযোগিতায় কর্নেল ফারুক, কর্নেল রশিদদের দিয়ে জিয়াউর রহমানই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিল। আর তারই ধারাবহিকতায় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য জিয়াউর রহমানের ছেলে তারেক জিয়া ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করিয়েছে। তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সেদিন গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে পিরোজপুরে বঙ্গবন্ধু’র ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রদান অতিথি’র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বাঁচাতে ইনডেমিনিটি বিল পাশ করেছিল জিয়াউর রহমান। তাদের পুরস্কৃত করে হাই কমিশনে চাকুরী দিয়ে বিদেশে পাঠিয়েছেন তিনি। ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধীদের মন্ত্রী বানিয়েছেন তিনি। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া দেশের ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের হত্যার জন্য স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জামায়াত ইসলামীকে নিয়ে তার ছেলে তারেক রহমানের তত্বাবধানে ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা করেছিল, ২৮ জনকে হত্যা করেছিল। তখনও খালেদা জিয়া ২১ আগষ্ট খুনিদের বাঁচানোর জন্য জজ মিয়া নাটক বানিয়েছিল।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, খালেদা জিয়া ও তার দলের রাজনীতি হলো- খুনিদের রক্ষা করার রাজনীতি। তাদের রাজনীতি সন্ত্রাসের রাজনীতি। খালেদা জিয়া তার স্বামী জিয়াউর রহামানের হত্যারও কোন বিচার করেন নি। কেননা তারা মন্ত্র হলো খুনিদের বিচার করা যাবে না।


আর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, বঙ্গবন্ধু’র খুনিদের বিচার করেছেন, বুদ্ধিজীবী হত্যার বিচার করেছেন। বড় বড় অন্যায়-অপরাধ যারা করেছেন সকলের বিচার করেছেন। কেননা শেখ হাসিনা বিশ্বাস করেন- যিনি অপরাধ করবেন তার কোন দল নেই, তার কোন বর্ণ নেই, তার কোন পরিচয় নেই। খুনির বিচার, অপরাধীর বিচার অবশ্যই হতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য ২১ আগস্টসহ ১৯বার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। এখনও তাকে হত্যার জন্য দেশী-বিদেশী কুচক্রি মহল, স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার-আলবদরদের দোসররা নানা ষড়যন্ত্র করে চলছে। তাই স্বাধীনতাকামী বঙ্গবন্ধু’র আদর্শের সৈনিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবেলা করতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান ফুলু’র সভাপতিত্বে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি সদস্য এডভোকেট চন্ডিচরণ পাল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এম এ হাকিম হাওলাদার (ভাচ্যুয়ারী বক্তব্য দেন তিনি), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক খান বাদশা, জেলা কৃষক লীগের সভাপতি চান মিয়া মাঝি, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহবায়ক সিকদার চান, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি জাহিদ হোসেন পিরু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল আহসান, জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোপাল বসু, জেলা যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শিরিনা আফরোজ, পিরোজপুর সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস এম বায়েজিদ, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অনিরুজ্জামান অনিক, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা মোমেন মোর্শেদ শুভ, জুনায়েত রাসেল প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ূ কামনায় দোয়া মোনাজাত করা হয়।






উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.