বাগেরহাটে বেনাপোলগামী পরিবহনে ডাকাতি ॥ আহত ১৩
বাগেরহাট সদর উপজেলার বারাকপুর শ্রীঘাট এলাকায় যাত্রীবাহি একটি পরিবহনে যাত্রীবেশে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে কুয়াকাটা থেকে বেনাপোলগামী কুয়াকাটা এক্সপ্রেসে নামের একটি পরিবহনে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা পরিবহনে থাকা ১৩ যাত্রীকে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে তাদের সর্বস্ব লুটে নেয়। আহতদের মধ্যে ৯ জনকে শুক্রবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পরিবহনটি থেকে যাত্রীরা সাংবাদিকদের জানান, সন্ধ্যা ৭টায় বাসটি বেনাপোলের উদ্দেশ্যে কুয়াকাটা থেকে রওনা হয়। রাত আড়াইটার দিকে বাগেরহাটের বারাকপুর এলাকায় পৌঁছালে ১০ জন যাত্রী হঠাৎ ছুরি ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। তারা অন্য যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সবকিছু লুটে নেয়। এসময় ডাকাতদের ছুরিকাঘাতে চালক-হেলপারসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন।
তারা আরও জানান, পিরোজপুর থেকে ৭ থেকে ৮ জন লোক যাত্রীবেশে বাসে উঠে। এসময় গাড়ীটি বাগেরহাটের বারাকপুর শ্রীঘাট এলাকায় পৌছালে যাত্রীবেশে ডাকাতরা গাড়ির চালককে চড়-থাপ্পর মারেন। প্রথমে সবাই ভেবেছিলো খারাপ চালাচ্ছে বলে হয়তো মারছে। পরে ডাকাতরা সবার কাছে যা ছিলো সব একে একে নেয়।
গাড়ির হেলপার জামির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, পিরোজপুর থেকে যাত্রীবেশে ১০ ডাকাত গাড়িতে উঠেছে। তাদের সবার অনলাইনে টিকিট বুকিং ছিলো। বারাকপুর এলাকায় এসে তারা ডাকাতি শুরু করে। ডাকাতির পর তারা সেখানে নেমে গেলে একটি ছোট পিকআপ তাদের তুলে নিয়ে বাগেরহাটের দিকে চলে যায়।
কাটাখালি হাইওয়ে পুলিশেরে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল হক বলেন, রুপসা থানার ওসির মাধ্যমে শুক্রবার দুপুর এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি। বিষয়টি আমি জানান পর তৎক্ষনিক বিষয়টি নিয়ে আমি ফকিরহাট ও বাগেরহাট সদর থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করলে তারা বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেনা বলে আমাকে জানান।
এ বিষয়ে বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাতাব উদ্দিন বলেন, বারাকপুরের শ্রীঘাট এলাকায় পুরিবহনে ডাকাতির বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। এ বিষয়ে আমাদের কাছে কেউ কোন অভিযোগও করেনি।
