নাজিরপুরে শিক্ষিকার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আ’লীগ নেতা !
পিরোজপুরের নাজিরপুরে নির্ঝন কান্তি বিশ্বাস নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে এক স্কুল শিক্ষিকার ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেছে স্থানীয়রা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক । ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার সকালে উপজেলার শ্রীরামকাঠী বন্দরে। বিষয়টি টক অব দ্যা উপজেলায় পরিনত হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে সরেজমিন গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝন কান্তি বিশ্বাসকে ওই শিক্ষিকার ঘরে পাওয়া যায়। এ সময় প্রতক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝন কান্তি বিশ্বাস ওই শিক্ষিকার কর্মস্থল উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়ন একাডেমী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি থাকাকালে তাদের মধ্যে পরকীয়া সম্পর্ক তৈরী হয়। আর এ কারণে ওই শিক্ষিকার সাথে তার স্বামীর দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলে আসছে। বর্তমানে সে (শিক্ষিকার স্বামী) ভারতে থাকায় ওই শিক্ষিকা একাই শ্রীরামকাঠী বন্দরে একটি ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। এ সুযোগে ওই আওয়ামী লীগ নেতা প্রায় সময়ই শিক্ষিকার ঘরে আসা যাওয়া করতো বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
এ সময় অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা নির্ঝন কান্তি বিশ্বাস বলেন, ওই শিক্ষিকা তার আত্মীয়, সে ভারতে চিকিৎসার জন্য যাবে, ভারতে ডাক্তারের সিরিয়ালের ব্যাপারে কথা বলার জন্য সে আমাকে ডাকায় সকালে আমি এ বাসায় ঢোকার সাথে সাথেই বাহির থেকে কে বা কারা দরজা তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে বাড়ীওয়ালাকে ফোন করলে সে তালা ভেঙ্গে ফেলে। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। প্রতিপক্ষরা আমাকে হেয় করার জন্য মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।
শ্রীরামকাঠী বন্দরের এক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, তাকে ওই বাসা থেকে এর আগেও স্থানীয়রা আটক করেছিল। তখন মানসম্মানের কথা ভেবে রাতের আধারে ওই বাসা থেকে বের করে দেয়া হয়। তার পরেও সংশোধন না হলে বাড়ীর মালিকসহ তাকে একাধিকবার সতর্ক করেছে স্থানীয়রা। তার পরেও আজ (বুধবার) পুনরায় সে ওই শিক্ষিকার ঘরে ঢুকলে স্থানীয়রা বাইরে থেকে ওই কক্ষে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে বাড়ীওয়ালা মিল্টন মজুমদার তালা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে। এক পর্যায়ে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী ওই বাসায় গিয়ে তাকে নিয়ে আসে।
সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ঘটনার পর ওই নেতা আমাকে মোবাইলে ফোন করে তাকে ওই বাসায় আটক করার বিষয়টি জানান এবং তাকে উদ্ধার করার অনুরোধ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এম খোকন কাজী বলেন, তাকে ওই বাসায় আটক করা হয়েছিল সত্য। তবে সে ষড়যন্ত্রের শিকার।
ঘটনার বিষয়ে জানতে বাড়ির মালিক মিল্টন মজুমদারের সাথে কথা হলে তিনি ওই শিক্ষিকার ঘরে আওয়ামী লীগ নেতাকে তালাবদ্ধ অবস্থায় পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, এটা তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। কে বা কারা তাকে ওই ঘরে ঢুকতে দেখে ঘরের বাহির থেকে তালাবদ্ধ করে দেয়। পরে ওই শিক্ষিকা আমাকে ফোন করলে আমি এসে তালা ভেঙ্গে তাকে বের করি।
