নাজিরপুরে স্কুল ছাত্রী ধর্ষণের শিকার
প্রভাবশালীদের চাপের মুখে এলাকা ছেড়েছে ধর্ষিতা
নাজিরপুরে ৯ম শ্রেণীর এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের তারাবুনিয়া গ্রামে। ধর্ষক পরিতোষ বড়াল এক সন্তানের জনক সে ওই গ্রামের মৃত প্রফুল্ল বড়ালের ছেলে। ধর্ষিতা উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। ঘটনার পর প্রভাবশালী ধর্ষক পরিবারের চাপের মুখে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রী। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলার পঞ্চগ্রাম সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উথান মন্ডল জানান, হতদরিদ্র পরিবারের পিতৃহারা ওই ছাত্রীকে বাড়ীতে একা রেখে তার মা আত্মীয় বাড়ীতে বেড়াতে যায়। এই সুযোগে বুধবার গভীর রাতে পরিতোষ বড়াল ওই ছাত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় ধর্ষিতার চিৎকারে স্থানীয়রা ধর্ষককে হাতে-নাতে আটক করলেও ওই গ্রামের বাসিন্দা নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রনজিত হালদার ধর্ষকের বিচার করা হবে বলে তাকে ছেড়ে দেয় এবং ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ধর্ষিতার বাড়ীতে কাউকে পাওয়া যায়নি। প্রতিবেশীরা জানান, ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের চাপের মুখে বাড়ি ছেড়েছে ধর্ষিতা। আটক ধর্ষককে ছেড়ে দেয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে নাজিরপুর ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক রনজিত হালদার বলেন, আপনারা লেখালেখি থেকে বিরত থাকুন। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে মিমাংশার চেষ্টা চলছে। আপনাদের সাথে দেখা করা হবে।
ঘটনার বিষয়ে জানতে ধর্ষক পরিতোষ বড়ালের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, এ ধরনের কোন অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
