প্রধান সূচি

নেপালকে উড়িয়ে সেমিতে বাংলাদেশ

কন্ঠ ডেস্ক :

টানা দ্বিতীয় জয়ে ইমার্জিং টিমস এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল। প্রথম ম্যাচে হংকংকে ৮ উইকেটে উড়িয়ে দেয়া বাংলাদেশ মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে, নেপালকে হারিয়েছে ৮৩ রানে।

কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে নাসির হোসেনের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৫৭ রান করেছিল বাংলাদেশ। পরে রাহাতুল ফেরদৌস ও মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের দারুণ বোলিংয়ে নেপালকে ১৭৪ রানেই গুটিয়ে দেয় মুমিনুল হকের দল।

‘বি’ গ্রুপ থেকে বাংলাদেশের সাথে সেমিফাইনালে উঠেছে পাকিস্তানও। প্রথম ম্যাচে নেপালকে হারানো পাকিস্তান আজ দ্বিতীয় ম্যাচে হংকংকে উড়িয়ে দিয়েছে ২৪৮ রানে। বৃহস্পতিবার গ্রুপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান।

বোলিংয়ের শুরুতেই নেপালের টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেন বাংলাদেশের দুই পেসার সাইফুদ্দিন ও আবুল হাসান রাজু। ইনিংসের দ্বিতীয় আর নিজের প্রথম ওভারে গায়েন্দ্র মোল্লাকে নাজমুল হোসেন শান্ত’র ক্যাচে পরিণত করেন সাইফুদ্দিন।

২০ বছর বয়সি এই পেসার নিজের তৃতীয় ওভারে এসে আরেক ওপেনার সুনীল ধামালাকেও সাজঘরের পথ দেখান। পরের ওভারে আসিফ শেখকে মোহাম্মদ মিঠুনের ক্যাচ বানান রাজু। নেপালের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ১৬!

শুরুতেই ওপরের দিকের তিন ব্যাটসম্যানকে হারানো নেপাল প্রতিরোধ গড়েছিল চতুর্থ উইকেটে দিলিপ নাথ ও দিপেন্দ্র সিং এয়ারের ৯৮ রানের জুটিতে। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনার রাহাতুল এ জুটি ভাঙার পর আর দাঁড়াতেই পারেনি নেপাল।

রাহাতুল নাথকে (৪১) ফিরিয়ে বড় জুটি তো ভেঙেছেনই, নিজের টানা চার ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট। নাথকে ফেরানোর পর তিনি নিজের পরের টানা তিন ওভারে শরদ বেসাকর, এয়ার (৫৬) ও মাহবুব আলমকেও আউট করেন।

আর শুরুর মতো নেপালের লেজটাও মুড়িয়ে দিয়েছেন সাইফুদ্দিন ও রাজু। ৪৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের সেরা বোলার রাহাতুল। ২২ রানে ৩টি সাইফুদ্দিন ও ৪০ রানে ২ উইকেট নেন রাজু।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩৩ রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। তবে পঞ্চম উইকেটে ৭৮ রানের জুটিতে দলকে টেনে তোলেন অধিনায়ক মুমিনুল ও সহ-অধিনায়ক নাসির।

মুমিনুল ৭৮ বলে ৭ চারে ৬১ করে ফিরলেও দারুণ এক সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশকে আড়াই’শ পেরোনো পুঁজি এনে দেন নাসির। সেঞ্চুরির পথে নবম উইকেটে রাজুর সঙ্গে ৭৬ রানের জুটিও গড়েন বর্তমানে জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই অলরাউন্ডার।

রাজু ৩০ বলে ১টি করে চার ও ছক্কায় ২৯ রান করেন। আর নাসির ১১৫ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ১০৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার গড়ে দেওয়া লড়াকু পুঁজির পর জয়ের বাকি কাজটা সারলেন বোলাররা।

 



« (পূর্ববর্তি সংবাদ)
(পরবর্তি সংবাদ) »



উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.