২শ’ সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ বাড়ানো হচ্ছে
কন্ঠ রিপোর্ট :
দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি আগ্রহ কমছে। এ জন্য সারাদেশে নির্বাচিত ২০০টি সরকারি কলেজে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এ জন্য সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে ১ হাজার ৮০৫ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে তথ্য-প্রযুক্তিগত ও বিজ্ঞান গবেষণার সুযোগ ও বিজ্ঞান শাখার শিক্ষকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি হবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
অনুমোদন পেলে চলতি বছর থেকে ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর।
পরিকল্পনা কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে দেশে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে তাই সরকারি কলেজগুলোকে বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ শীর্ষক নতুন বিনিয়োগ প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে হাতে নেয়া হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বর্তমান বিশ্বে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গুরুত্ব অপরিসীম। পরিবেশের সুরক্ষা, দারিদ্র বিমোচন এবং স্বাস্থ্য উন্নয়ন প্রতিটি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য প্রয়োজন দক্ষ বিজ্ঞানী ও সক্রিয় নাগরিক। এজন্যই ১৯৯৯ সালের বুদাপেস্ট ঘোষণায় সবার জন্য বিজ্ঞান শিক্ষায় গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। বিজ্ঞান ও গণিত শিক্ষা শিক্ষার্থীদের যেমন সৃজনশীল চিন্তায় উদ্ধুদ্ধ করে, তেমনি আর্থ-সামাজিক উন্নতির মাধ্যমে টেকসই উন্নয়নের পথে পরিচালিত করে। বিজ্ঞান শিক্ষা তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনের পূর্বশর্ত।
বাংলাদেশে বিশেষ করে সরকারি কলেজগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষায় ব্যাপক প্রতিবন্ধকতা লক্ষ করা যায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি যুব সমাজের অনাকাঙ্খিত অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে। এই ভয়াবহ প্রবণতা রোধের জন্য যদিও বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে, লক্ষ্য অর্জনে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়নি। কার্যকর কর্মপরিকল্পনা যদি দ্রুত গ্রহণ করা না হয়, দেশের উদ্ভাবনী ক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদে লোপ পাওয়ার সাথে সাথে গবেষণার মানও নি¤œগামী হবে।
ব্যনবেইসের তথ্য অনুসারে দেখা যায়, ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখার তুলনায় বিজ্ঞান শাখায় ১১ দশমিক ১২ শতাংশ পরীক্ষার্থী বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতে দেশে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। তাই এ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই দেশের ২০০টি সরকারি কলেজ বিজ্ঞান শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারনের জন্য বর্তমানে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রকল্পের প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে, একাডেমিক ভবন নির্মাণ, আইটি ল্যাব প্রতিষ্ঠা, বিজ্ঞান গবেষণাগার নির্মাণ, অফিস সরঞ্জামদি সরবরাহ, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ ও আইটি ল্যাব এ কম্পিউটার, আই-বোর্ড ও বিজ্ঞান যন্ত্রপাতি সরবরাহ, আসবাবপত্র সরবরাহ ও বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষকদের পদ সৃজন।
