প্রধান সূচি

ফাঁটল ধরেছে আশপাশের জমি ও বাড়িঘরে : প্রতিবাদে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ

সরকারী খালে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন

মোংলায় সরকারী খালে ড্রেজার বসিয়ে ভূগর্ভস্থ বালু উত্তোলন করায় ফাঁটল ধরে ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে আশপাশের জমি ও বসত ঘরবাড়ি। এ নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন ভুক্তভোগী গ্রামবাসী।
এদিকে সরকারী খালে আত্মঘাতী ড্রেজার বসানো ও আশপাশের লোকজনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা না নেয়ায় জনমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসী জানান, উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতলা বাজার সংলগ্ন সরকারী পুটিমারী খালে (এক সময়ের নদী) ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করছেন সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বর জোছনা বেগমের ভাগ্নে মানিক। আর মানিককে সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছেন সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার।
বেআইনীভাবে বালু উত্তোলণের বিষয়ে ড্রেজার মালিক মানিক বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার খাল থেকে বালু উত্তোলন করে রাস্তায় দেয়ার জন্য বলেছেন, তার কথা মতই কাজ করছি।
সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার বলেন, সরকারী খাল থেকে বালু উত্তোলনও করা যাবে, আর উত্তোলিত বালু রাস্তায়ও দেওয়া যাবে।
এদিকে, রাস্তায় মুলত: কেনা ধুলা বালু (শুকনো ঝরঝরে বালু) দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে খালের কাঁদা মাটি। এনিয়ে ক্ষোভ রয়েছে স্থানীয়দের মাঝেও।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. জাফর রানা বলেন, উত্তর বাঁশতলায় ২৭’ ফুট (১ কিলোমিটার) ইটের সোলিং রাস্তা সংস্কারের জন্য ৯/১০ মেট্টিক টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আর ওই রাস্তায় কেনা বালু দিতে হবে, খাল থেকে ড্রেজার দিয়ে মাটিবালু দেওয়ার কথা না। এমন করছে আমার জানা নেই, এমন কাজ করা হলে খতিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তার ঠিকাদার শহিদুল ফকির বলেন, আমাকে চেয়ারম্যান একরাম ইজারদার ও পিআইও জাফর রানা যেভাবে বলেছেন আমি সেভাবেই কাজ করাচ্ছি।
ভুক্তভোগী গ্রামবাসী আলমগীর শেখ, মালেকা বেগম, মাহিরা বেগমসহ আরো নারী-পুরুষ অভিযোগ করে বলেন, আত্মঘাতী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করায় খালের পাড়ের জমি ও বাড়িঘরের মধ্যে ফাঁটল ধরেছে। এর প্রতিবাদে গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে বিক্ষোভ প্রদর্শনসহ স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। কিন্তু তারপরও প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় বহাল তবিয়তে চলছে অবৈধ বালু উত্তোলনের কাজ। ইউপি চেয়ারম্যানের দাপটের কাছে অনেকটা অসহায় স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা বলেও অভিযোগ গ্রামবাসীর। প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়ার বক্তব্য শুধু মুখে মুখেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারী খালে ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন সম্পূর্ণ অবৈধভাবে করা হচ্ছে। সরেজমিন দেখে অতিসত্বর ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাস বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি।






উত্তর দিন

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.