মঠবাড়িয়ায় স্কুল ছাত্রীর আত্মহত্যা
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় মোবাইল ফোন না পেয়ে মায়ের সাথে অভিমান করে রাইসা মনি নামে ৮ম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে। সোমবার রাতে বসতঘরের ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই স্কুল ছাত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে পৌরসভার সবুজনগর এলাকায়। রাইসা মনি শহরের কে এম লতিফ ইনস্টিটিউশনের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী ও সবুজনগর এলাকার সৌদি প্রবাসী নুরুল ইসলামের একমাত্র কন্যা।
থানা পুলিশ নিহত স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুর জেলা মর্গে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাইসা মনির ৮ মাস পূর্বে উপজেলা পশুরিয়া গ্রামের শাহ আলমের ছেলে নাজমুস সাকিবের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরেও বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান হওয়ায় রাইসা মায়ের কাছে থেকেই পড়াশুনা করত।
নিহত স্কুল ছাত্রীর মা রাফিকুন নাহার জানান, সোমবার রাতে মেয়ে রাইসা তার কাছে একটি মোবাইল ফোন দাবী করে। পরে তিনি বিষয়টি মেয়ের স্বামী নাজমুস সাকিবকে জানান। এর কিছুক্ষণ পরে রাইসা তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি নিয়ে বসতঘরের দ্বিতীয় তলায় গিয়ে রুমে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে। একপর্যায় কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে মেয়ে জামাইকে নিয়ে ডাকাডাকি শেষে দরাজ ভেঙ্গে রুমের ভিতরে প্রবেশ করে দেখেন রাইসা ফ্যানের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে। পরে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মঠবাড়িয়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আব্দুল হালিম তালুকদার জানান, খবর পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে নিহত স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
