নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি
পিরোজপুরে ৭ উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত : জনজীবন বিপর্যস্ত
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে নদ-নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনজীবন চরমভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হালকা দমকা বাতাস, জোয়ারের পানি ও টানা বর্ষণের ফলে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার শতাধিক গ্রাম পানিতে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
শনিবার জেলার বলেশ্বর ও কঁচা নদীর টগড়া-চরখালী ফেরিঘাট এলাকা এবং ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন চরাঞ্চল এলাকায় নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট পর্যন্ত বেড়েছে। এর ফলে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা, পিরোজপুর পৌরসভা, ইন্দুরকানী, কাউখালী, মঠবাড়িয়া, ভান্ডারিয়া, নাজিরপুর ও নেছারাবাদ উপজেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। প্রভাব পড়েছে রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, মাছের ঘের, বসতবাড়ির আঙিনা, বাগান ও সবজিক্ষেতে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে এলাকার লোকজন।
গত ৪৮ ঘন্টায় জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কঁচা, বলেশ্বর, কালিগঙ্গা, তালতলা, মধুমতি ও সন্ধ্যা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেড়েছে। এতে করে নদী ভাঙনও বেড়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিপন চন্দ্র ঘোষ জানান, বর্ষা ও জোয়ারের অতিরিক্ত পানিতে উঠতি আউশ ধান এবং রোপণকৃত আমনের বীজতলার জমি অন্তত এক সপ্তাহ পানিতে নিমজ্জিত থাকলে তা পচে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান জানান, যে কোনো প্রকার ক্ষতি বা পানিবন্দি পরিবারকে সর্বাত্মক খাদ্য ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। আমার ব্যক্তিগত তহবিল থেকেও সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা বিবেচনায় রেখে জেলার বিভিন্ন উপজেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। মৎস্য চাষিদের সাথেও নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।
