পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় খেলার মাঠ থেকে স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় মো. নাসির উদ্দিন আহম্মেদ (৬৮) নামে এক স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রবিবার বিকাল ৫টার দিকে উপজেলা শহরের কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের শহীদ মোস্তফা খেলার মাঠের সভামঞ্চের ওপর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি শনিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন।
নিহত শিক্ষক নাসির উদ্দিন মঠবাড়িয়া কে. এম. লতীফ ইনস্টিটিউশনের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের সহকারি শিক্ষক ছিলেন। তিনি শারীরিক অসুস্থতার জন্য ২০১৪ সালের ৩১ মে স্বেচ্ছায় শিক্ষকতা থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
শিক্ষক নাসির উদ্দিন মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিসাখালী ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবুল হাশেম হাওলাদারের ছেলে। স্কুল শিক্ষকের ছোট ভাই মো. গিয়াস উদ্দিন বিআরডিবির সাবেক মহাপরিচালক।
থানা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ওই স্কুল শিক্ষক গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে শহরের ব্যাংক কলেনীর শেরেবাংলা পাঠাগার সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে বের হন। এরপর আর তিনি বাসায় ফিরে আসেননি। তার নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে ছেলে রিয়াজ উদ্দিন মঠবাড়িয়া থানায় শনিবার রাতে একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। এরপর তার সন্ধান চেয়ে পরিবারের স্বজনরা শহরে মাইকিং করেন। আজ রবিবার বিকেল ৫টার দিকে স্থানীয়রা খেলার মাঠের সভামঞ্চে তার লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থালে এসে তার লাশ উদ্ধার। এ সময় তার থেতলানো মাথা থেকে রক্ত ঝরছিল। স্কুল শিক্ষকের এমন মৃত্যু রহস্যজনক বলে এলকাবাসীর ধারণা।
এ ব্যাপারে নিহত স্কুল শিক্ষকের ছেলে মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, শনিবার সকাল ৯টার দিকে বাবাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলি। এরপর বাবা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হন। পরে তিনি নিখোঁজ হন। আমি থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। বাবার এমন মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা। বাবার মাথাা থেতলানো ও রক্তাক্ত ছিলো।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ঘটনা নিশ্চিত করে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্কুল মাঠের সভামঞ্চ থেকে ওই স্কুল শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তার মৃত্যু ময়না তদন্ত শেষে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হবে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
