সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুরে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, শহরে জলাবদ্ধতা : জনজীবনে দুর্ভোগ
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরী আবহাওয়ায় পিরোজপুরে বুধবার রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টি হয়েছে। সারাদিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। টানা বৃষ্টিপাতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষজন।
নিম্নচাপের প্রভাবে পিরোজপুরের নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি আর জোয়ারের পািনতে জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। জেলা শহরে সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।
ভারী বৃষ্টিতে জেলার ইন্দুরকানী, মঠবাড়িয়া উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। তবে এখনো ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ইন্দুরকানী উপজেলার বাসিন্দা হাসিব বিল্লাহ বলেন, সন্ধ্যা ও কঁচা নদীর তীরবর্তী এলাকায় হাজারো পরিবারের বসবাস। সাগরে নিম্নচাপ হলেই এ এলাকার মানুষের চিন্তা বাড়ে। বুধবার রাত থেকে বৃষ্টির পানিতেই আশপাশ তলিয়ে গেছে। জোয়ারের পানি উঠলে বিপদ হয়ে যাবে।
পিরোজপুর সদর উপজেলার বলেশ্বর নদী তীরের বাসিন্দা মো. ওয়াসিমুল কবির বলেন, বৃষ্টি ও নদীর জোয়াররের কারণে নদীর পাড়ের এলাকা তলিয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে ঘর থেকে বের হওয়া যাচ্ছে না।
পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব এলাকার বাসিন্দা রিয়াদুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টিতে রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। এতে আমাদের চলাচলে অনেক সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে রাস্তায় পানি থাকায় রিকশা গাড়ি খানাখন্দে পড়ে দুর্ঘটনার সৃষ্টি হচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, পিরোজপুরে বুধবার সকাল ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী দুই দিন বৃষ্টির পরিমাণ বাড়তে পারে।
পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল আলম খান বলেন, আমরা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলার আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি খাদ্য সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
