বদলি আতংকে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
বাগেরহাটে কৃষি বাংকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও সিবিএ নেতার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ
বাগেরহাটে কৃষি ব্যাংকের মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম ও সিবিএ নেতা তৌফিক এর বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন খোদ কৃষি ব্যাংক জেলা শাখার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ। এর এ অভিযোগ করার কারনে ব্যাংকের এ দুই প্রভাবশালী কর্তার রোষানলে পড়েছেন অভিযোগকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এ অবস্থা থেকে পরিত্রান পেতে ভুক্তোভুগীরা বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
লিখিত অভিযোগে জানাযায়, ওই আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক শেখ নজরুল ইসলাম কৃষি ব্যাংকের বাগেরহাট শাখায় যোগদানের পর থেকেই কৃষি প্রধান এই অঞ্চলের হত দরিদ্র কৃষকদের নেয়া স্বল্প সুদে কৃষি ঋন, শাখা ব্যবস্থাপকদের চাপ প্রয়োগ করে ৩-৪ গুণ হারে সুদ, আদায় করতে থাকে। ওই কর্মকর্তার বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে নজরুল ও সিবিএ নেতা তৌফিক অনৈতিক অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে তাদের অধীনস্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীদের উপর বদলীর জুলুম চালাতে শুরু করে। এর ফলে অঞ্চলের শত শত নিরীহ কর্মকর্তা/কর্মচারীরা পড়ে চরম ভোগান্তিতে ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। নজরুল ও সিবিএ সভাপতি এফ. এম তৌফিকুর রহমান, পরিদর্শক যোগসাজসে খামখেয়ালী বশতঃ প্রথমে দূর-দূরন্তের শাখায় বদলী করে। আবার বদলীকৃত ওই সব কর্মকর্তা/কর্মচারীদের পুনরায় অনৈতিক অর্থের বিনিমিয়ে তাদের সুবিধা মত শাখায় বদলী ফিরিয়ে নিতে ঐ কর্মকর্তা ও সিবিএ নেতা লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়। এমন কি তাদের এই অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না।
তৌফিক, বাগেরহাট মুখ্য অঞ্চলের বাসিন্দা হওয়াতে বাগেরহাট এর স্থানীয় নেতাদের (শ্রমিকলীগ) নির্দিষ্ট মাশোয়ারা দিয়ে ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের প্রভাব দেখিয়ে এবং বিকেবি, বিভাগীয় কার্যালয়, খুলনার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে হাত করে দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক ভাবে বিকেবি’র নিয়ম বর্হিভুত কাজগুলো করে নিজের ফায়দা লুটছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কৃষি ব্যাংক বাগেরহাট জেলা শাখার কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী বলেন, বর্তমানে অত্র অঞ্চলের সকল শাখায় জনবল সংকট, এর মধ্যে মুখ্য আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও সিবিএ যোগসাজসে অনৈতিক অর্থের বিনিময়ে কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বদলী করা প্রায় প্রতিটি শাখাকে ভোগান্তিতে ফেলছে। এখানে ব্যাংকের স্বার্থকে বড় করে না দেখে নজরুল ও তৌফিক, তাদের ব্যক্তিগত স্বার্থ ও নিজের আখেরকে প্রাধান্য দিয়ে নিজেদের পকেট ভারী করছে। যেখানে অত্র অঞ্চলের একজন উপ-মহাব্যবস্থাপক একজন অনৈতিক অর্থের বিনিময়ে একজন পরিদর্শকের কথামত ওঠেন আর বসেন, সেখানে ব্যাংকের প্রশাসন রীতিমত চরমভাবে প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আমরা এই পরিস্থিতির পরিত্রানসহ মহোদয়ের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
