প্রধান সূচি

স্বরূপকাঠীতে ঢাকাগামী লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবি : যুবকের পা বিচ্ছিন্ন   

স্বরূপকাঠীর সন্ধ্যা নদীতে ঢাকাগামী লঞ্চ অগ্রদূত প্লাসের ধাক্কায় একটি কাঠ বোঝাই ট্রাকবডি ট্রলার ডুবিতে মো. হাইয়ুম (৩২) নামে এক ট্রলার চালকের বাম পা কেটে বিচ্ছন্ন হয়েছে। এসময় ট্রলারে থাকা কাঠের বেপারী মো. আব্দুস সালাম নদীতে ডুবে গেলেও কোনমতে তীরে সাঁতরিয়ে উঠতে পেরেছেন।

মঙ্গলবার দুপুরের দিকে উপজেলার সীমান্তবর্তী আমড়াঝুড়ি এলাকার সন্ধ্যা নদীতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। চলন্ত ওই লঞ্চের ধাক্কায় পা হারানো যুবককে নদী থেকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে স্বরূপকাঠী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা গুরুতর দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেলে প্রেরণ করেন।

পা হারানো গুরুতর আহত যুবক মো. হাইয়ুম পাশ্ববর্তী নাজিরপুর থানাধীন মোনারপাড় গ্রামের মো. সোহারব মিয়ার ছেলে। সে ওই ট্রলারে কর্মচারী বলে জানা গেছে।

লঞ্চের বেপরোয়া গতির ধাক্কায় ওই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ করেছেন আহতরা। আহতরা অভিযোগ করে বলেন, তারা একই গতিতে কাঠ বোঝাই ট্রলারটি চালিয়ে নদীর তীর দিয়ে স্বরূপকাঠি আসছিলেন। কিন্তু বেপরোয়া গতিতে লঞ্চটি ইচ্ছানুযায়ী চালানোর কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

ট্রলারে থাকা আহত কাঠের বেপারী আব্দুস সালাম বলেন, তারা দক্ষিণের থেকে কাঠ নিয়ে স্বরূপকাঠি কাঠ মহলের উদ্যোশে আসছিলেন। এসময় হাইয়ুম ট্রলারের সুকান ধরছিলেন আর তিনি পাশে ছিলেন। তারা নদী থেকে আমড়াঝুড়ি পার হলে পিছন থেকে তীব্র গতীতে ছুটে আসা অগ্রদূত প্লাস লঞ্চটি তাদের ট্রলারে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে কিছু আঁচ করার আগেই তাদের মালবাহী ট্রলারটি নদীতে ডুবে যায়। আর লঞ্চটি আমাদের উপর দিয়ে চালিয়ে যায়। এতে তিনি কোনমতে তীরে সাঁতরিয়ে উঠতে পারলেও ট্রলার চালক হাইয়ুমের পা বিচ্ছিন্ন হয়ে নদীতে রয়ে যায়।

অভিযুক্ত লঞ্চের মাষ্টার বেল্লাল বলেন, আমরা ঈদের যাত্রী নিয়ে সকালে এসে ঘাটে ঘাটে নামিয়ে দিয়ে ভান্ডারিয়া শেষ ঘাট যাই। পরে খালি লঞ্চ পূনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে সরাসরি ছেড়ে নদীর মাঝখান দিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় ওই ট্রলারটি আমাদের সামনে এসে ডান দিকে ঘুরে যাচ্ছিল। এ কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। তিনি বলেন আমরা যতদূর সম্ভব তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করব।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial