চালক ও হেলপার আটক
নাজিরপুরে ইমাদ পরিবহনের নৈশকোচে ডাকাতি
পিরোজপুরের নাজিরপুরে বুধবার রাতে ঢাকা থেকে পিরোজপুরগামী ইমাদ পরিবহন নামে একটি নৈশকোচে (ঢাকা মেট্রো-ব-১৪-৭৫৫৭) ডাকাতির ঘটনায় এক সৌদি প্রবাসীসহ কোচযাত্রীদের নগদ লক্ষাধিক টাকা, ল্যাপটপ, স্বর্ণালংকার ও বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত আড়াইটা দিকে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাকপুর থেকে নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তায় প্রায় ঘন্টাব্যাপী এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ ওই বাসের চালক তরিকুল ইসলাম (২৬) ও হেলাপার সুজন গাজীসহ বাসটি আটক করেছে। চালক তরিকুল ইসলাম ঝালকাঠীর রাজাপুর উপজেলার সাংগোর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে এবং হেলাপার সুজন গাজী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার ভাঙ্গানদী গ্রামের জাহাঙ্গীর গাজীর ছেলে।
ডাকাতদের আঘাতে জখমপ্রাপ্ত ওই বাসের এফ-৪ নম্বর সীটের যাত্রী ব্যাংক কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন শেখ বলেন, “আমি পিরোজপুরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গতরাত ৯টার দিকে সায়েদাবাদ থেকে ওই বাসে উঠেছি। বাসটি পাটগাতী সেতু পার হয়ে রাত আড়াইটার দিকে সেতু ও শৈলদাহ বাজারের মাঝামাঝি চিতলমারী থানা এলাকার বাকপুর নামক স্থানে পৌছলে চালক হটাৎ বাসটি থামিয়ে দেয়। এ সময় যাত্রীরা চালকের কাছে বাস থামানোর কারণ জানতে চাইলে বাসে থাকা ৩ জন যাত্রী তাদের লোক ওঠবে বলে জানায়। হেলপার দরজা খুলে দিলে ৫/৬জন যুবক বয়সী লোক বাসে ওঠে। বাসে উঠেই তারা ওই তিনজন যাত্রীসহ মোট ৮/১০ জন মিলে চাকু-ছোরা বের করে যাত্রীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ডাকাতি শুরু করে। কোন যাত্রী মালামাল বা টাকা পয়সা দিতে না চাইলে তাকে আঘাত করে। এ সময় হেলপার বাসের দরজা খোলা রাখে এবং চালক আস্তে আস্তে বাসটি চালাচ্ছিল। তারা যাত্রীদের মারধর করে সবকিছু কেড়ে নেয়। আমি টাকা দিতে না চাইলে চাকু দিয়ে আমার পিঠে আঘাত করে আমার কাছে থাকা ১৩ হাজার ৫শ’ টাকাসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। নাজিরপুরের মাটিভাঙ্গা পর্যন্ত ডাকাতি করে তারা নতুনরাস্তা নামক স্থানে নেমে যায়। পরে সকল যাত্রীরা মিলে চালককে চাপসৃষ্টি করে বাসসহ নাজিরপুর থানায় নিয়ে আসি।”
বাসের যাত্রী সৌদি ফেরত আবুল হোসেন বলেন, ডাকাতরা আমাকে মারধর করে সৌদি থেকে আনা একটি ল্যাপটপ, একটি মোবাইল, স্বর্ণালংকার ও নগদ ২০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। বাসে ২৫/৩০জন যাত্রী ছিল। সকল যাত্রীর মালামাল, টাকা-পয়সা লুট করে নেয়।
নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাসের চালক ও হেলাপারকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদসহ জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
