পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৫ জন গ্রেফতার
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলা থেকে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধের অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া ও চরখালী গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে পিরোজপুরের গোয়েন্দা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ভান্ডারিয়া উপজেরার পশারিবুনিয়া গ্রামে ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর দোসর রাজাকারদের দ্বারা সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, অগ্নিসংযোগ ও লুটতারাজের সাথে সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে। ৭১ সালের অক্টোবর মাসের শেষে ভান্ডারিয়া ভিত্তিক একদল রাজাকার এ মানবতা বিরোধী অপরাধ করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া গ্রামের মৃত খবির উদ্দিন হাওলাদারের ছেলে ফজলুল হক হাওলাদার (৭৫), মৃত হাসেম আলী হাওলাদারের ছেলে আব্দুল মান্নান হাওলাদার (৭৪), মৃত আফসার আলী হাওলাদারের ছেলে আজাহার আলী হাওলাদার ওরফে হাজু মুন্সী (৮৮), মৃত নজর আলী হাওলাদারের ছেলে আশরাফ আলী হাওলাদার (৬৭) এবং চরখালী গ্রামের মৃত মহব্বত আলী হাওলাদারের ছেলে মহারাজ হাওলাদার (৬৮)।
পিরোজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ জানান, ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে পুলিশ ৫ আসামিকে গ্রেফতার করে সোমবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করেছে।
২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামের বিজয় কৃষ্ণ বালা বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আদালতে ৮ জন রাজাকারকে আসামি করে যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধে একটি মামলা করেন। বিচারক মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাঠান।
আদালতে দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৭১ ভান্ডারিয়া উপজেলার পূর্ব পশারিবুনিয়া গ্রামের ২৬ জন হিন্দুকে হত্যা করে স্থানীয় রাজাকার বাহিনীর সদস্যরা। মামলার বাদীর দেহে রাজাকারদের ছোড়া গুলির চিহ্ন রয়েছে এবং তার পিতা এ সময় গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দু’জন মূল মামলার আসামী এবং তিন জন তালিকাভূক্ত রাজাকার।
