প্রধান সূচি

চিতলমারীতে ইউএনও’র  বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের গাছ কাটার অভিযোগ

বাগেরহাটের চিতলমারীতে ইউএনও’র বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু পরিবারের রোপণকৃত গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। অভিযোগ কারীরা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। বিষয়টির জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

অভিযোগ পত্রে জানা গেছে, উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের শিবপুর কাটাখালী গ্রামের গোবিন্দ কিত্তনিয়া ও তার চাচাতো ভাই খোকন কিত্তনিয়ার বাপ-দাদার ভোগদকলীয় জমিতে নিজেদের রোপনকৃত প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের চারটি সিরিজ গাছ ইউএনও’র নির্দেশে গত ২-৩ দিন আগে কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পেয়ে গতকাল ৮ মে মঙ্গলবার সকালে বিভিন্ন পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিকদের কাছে সংবাদ প্রকাশের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী গোবিন্দ কিত্তনিয়া ও তার চাচাতো ভাই খোকন কিত্তনিয়া হতাশা ব্যক্ত করে জানান, তাদের বাপ-দাদার কয়েক পুরুষ ধরে ওই জমি ভোগ-দখল করে আসছে। সেখানে তারা নিজেরা গাছ রোপন করেছেন। অথচ ইউএনও তাদের কোন প্রকার নোটিশ বা পূর্বে অবহিত না করে লোকজন দিয়ে ভয়-ভীতি প্রদর্শন করে গাছগুলি কেটে নিয়েছেন। এ সময় ওই লোকজনকে বাধা দিতে গেলে তাদের মামলার ভয় দেখায়। এতে ঘটনার পর থেকে ওই সংখ্যালঘু পরিবার দু’টি চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। বিষয়টির জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।

এ ব্যাপারে ইউএনও মো. আবুসাঈদের সাথে কথা হলে তিনি জানান, গাছগুলি সরকারি খাস জমি থেকে কাটা হয়েছে। ওই গাছের দাবিদার তারা নন। ওই স্থানে আশ্রয় কেন্দ্রর জন্য ঘর তৈরি করা হবে।

হিজলা ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আজমীর হোসেন জানান, কেটে ফেলা গাছগুলি খাস জমিতে রোপন করা হয়েছে। ওই স্থানের জমিতে আশ্রয়ন প্রকল্প গড়ে তোলা হবে।

এ বিষয়ে জেলা সামাজিক বন কর্মকর্তা  চিন্ময় মধু জানান, ওইসব গাছ যদি সরকারি খাস জমিতেও রোপণ করা হয়ে থাকে তবে টেন্ডার ছাড়া কোন গাছ কাটার কোন নিয়ম নেই। যদি কেউ এ ধরণের গাছ কেটে থাকেন সেটা নিয়ম বর্হিভূত।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial