প্রধান সূচি

স্বরূপকাঠিতে চোর সন্দেহে এতিমখানার ছাত্রকে অমানুষিক নির্যাতন

স্বরূপকাঠিতে চুরির অপবাদ দিয়ে মোঃ মহিববুল্লাহ (১৭) নামের লিল্লাহ বোডিংয়ের এক এতিম ছাত্রকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন সাবেক ইউপি সদস্য আইয়ুব আলী এবং ম্যানেজিং কমিটিরসহ সভাপতি শহীদুল ইসলাম। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষও ঘটনাটি চেপে গিয়ে প্রকাশ করতে দেয়নি। শুক্রবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন মহিববুল্লাহর বিধবা মা মেরিনা বেগম সাংবাদিকদের কাছে এমনই অভিযোগ করছিলেন। মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আলিম পরীক্ষার্থী মহিবুল্লাহ গণমান গ্রামের মৃতঃ তাবারক আলীর পুত্র।

তার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত মঙ্গলবার রাতে সোহাগদল গ্রামের গনমান ছালেহিয়া ফাজিল মাদ্রাসার একটি কক্ষে মহিবুল্লাহর হাত পা চেয়ারের সাথে বেধে বেদম মারধর করা হয়। পরে বেত্রঘাতে আহত মহিবুল্লাহকে উদ্ধার করে স্বরূপকাঠি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। এখন পর্যন্ত অসুস্থ মহিবুল্লাহ হাসপাতেলের বেডে যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে। দরিদ্র মহিবুল্লার মা ছেলেকে নির্যাতনের জন্য এলাকার মানুষের কাছে বিচার দাবী করলে প্রভাবশালী আইউব আলীর বিরুদ্ধে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মসিউর রহমান পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়ভাবে সালিশ মিমাংশার জন্য গণ্যমান্যদের নিয়ে রবিবার বৈঠক ডেকেছেন।

ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে মা মেরিনা বেগম বলেন, গণমান ছালেহিয়া মাদ্রাসা ও লিল্লাহ বোডিংয়ের আবাসিক শিক্ষক মাওলানা ইসরাফিল হোসেনের রুম থেকে সাত হাজার টাকা ও তিনটি মোবইল সেট চুরি হয়। এঘটনার জন্য সাবেক ইউপি সদস্য আইউব আলী ও ম্যানেজিং কমিটির সহ-সভাপতি শহীদুল ইসলামসহ তিনজনকে তদন্ত করার দায়িত্ব দেয় ওই মাদ্রসার ম্যানেজিং কমিটি। তদন্তের দায়িত্ব পেয়েই ওই দিন রাতে আইয়ুব আলী এবং শহীদুল ইসলাম এতিম মহিবুল্লাহকে চোর সন্দেহ করে মাদ্রাসার একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে দরজা বন্ধ করে হাত-পা বেঁধে অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

এতিম মহিবুল্লাহকে মারধর করার বিষয় কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে জানতে চাইলে ওই মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ মসিউর রহমান বলেন, মোহেব্বুল্লাহ শিশুকাল থেকেই এ মাদ্রাসার অত্যন্ত ভাল ছাত্র। ঘটনাটি মিমাংশার জন্য সালিশ বৈঠক ডাকা হয়েছে।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial