প্রধান সূচি

পাইকগাছায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের অধিগ্রহণকৃত জমির

ন্যার্য্য মূল্য না পাওয়ায় জমির মালিকদের ক্ষোভ

পাইকগাছায় টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের জন্য অধিগ্রহণকৃত জমির মূল্য বাজারমূল্যের থেকে কম নির্ধারণ করায় জমির মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। জমির ক্ষতিপূরণ সহ ৩ গুণ মুল্য দেওয়া হবে বললেও জমির প্রকৃত মূল্য দেওয়া হচ্ছে না বলে ভুক্তভোগী জমির মালিকদের অভিযোগ। গদাইপুর মৌজায় যে স্থানে টেকনিক্যাল স্কুল করা হচ্ছে সেই স্থানের বর্তমান বাজার মূল্য বিঘা প্রতি প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা। আর খুলনা এডিসিএলএ শাখার অধিগ্রহণ কর্মকর্তারা সে জমির মূল্য নির্ধারণ করেছে বিঘা প্রায় ২১ লাখ টাকা। ক্ষতিপূরণ সহ ৩ গুণ দেওয়ার স্থলে জমির প্রকৃত মূল্য থেকেও কম টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা নিয়ে জমির মালিকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তুষ্টি বিরাজ করছে। জমি অধিগ্রহণ কার্যের শুরু থেকে ঘোষ ও ঋশি পরিবার জমি না দেওয়ার জন্য আপত্তি দিয়ে আসলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। তারা জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার বরাবর আবেদন করেছে। এদিকে উচ্চ মূল্যের জমি স্বপ্ল মূল্য নির্ধারণ করায় সকল জমির মালিক ন্যার্য্য মূল্য পাওয়া জন্য আদালতের সরণাপন্ন হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

উল্লেখ্য টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজটি পাইকগাছা সলুয়া মৌজায় প্রথম নির্ধারণ ছিল বলে জানাযায়। তবে শেষমেষ সেটিকে বাদ দিয়ে গদাইপুর মৌজায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্থানটি আবাসিক এলাকার মধ্যে হওয়ায় বসতবাড়ীর উচ্ছেদ সহ অন্যান্য পরিবারের বসতবাড়ী নির্মাণের পরিকল্পনাও ধূলিস্বত হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আবাসস্থল নির্মাণ করার জন্য চরম বিপাকের মধ্যে রয়েছে অধিগ্রহণকৃত জমির মালিকরা। এমন স্বপ্লমূল্যে জমির দাম নির্ধারণ করায় শতাধিক পরিবার চরম ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। যা উন্নয়নশীল সরকারের ভাবমুর্তিকেও ক্ষুন্ন করছে। এ ব্যাপারে জমির মালিক প্রকাশ ঘোষ, বিকাশ ঘোষ, শান্তি ঋশি, কওছার সরদার, শাহজুদ্দিন সরদার বলেন, ক্ষতিপূরণ সহ ৩ গুণ জমির মূল্য দেওয়া হবে বলে এখন জমির ন্যার্য্য মূল্য দেওয়া হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে ন্যার্য্য মূল্য পাওয়ার জন্য আদালতের সরণাপন্ন হতে বাধ্য হচ্ছি।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial