সমস্যায় জর্জরিত পিরোজপুরের ক্রীড়াঙ্গণ
পিরোজপুরে পর্যাপ্ত খেলার মাঠ থাকলেও নেই পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ ও খেলাধুলার সরঞ্জামাদি। ক্রিকেট, ফুটবল, ভলিবল, বক্সিন, কাবাডিসহ বিভিন্ন খেলার প্রচলন থাকলেও নেই সেসব খেলার জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ব্যবস্থা। বর্তমানে প্রধান সমস্যা হলো দক্ষ প্রশিক্ষক ও উপযুক্ত খেলাধুলার পরিবেশের অভাব। আর এসব কারণে পিছিয়ে পরছে জেলার ক্রীড়াঙ্গণ। খেলার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে শিশু-কিশোর থেকে শুরু তরুণ-তরুণীরা।
জেলায় ক্রিকেটের জন্য ১ জন প্রশিক্ষক ও বক্সিনের জন্য ১ জন প্রশিক্ষক আছেন। কিন্তু ফুটবলসহ অন্যান্য খেলার জন্য কোনো প্রশিক্ষক নেই।
জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তার বিবরণ অনুযায়ী, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৭টি উপজেলায় বিভিন্ন ক্রীড়া উৎসবের পরিকল্পনা রয়েছে। এদের মধ্যে ইন্দুরকানী উপজেলায় সাঁতার ও ফুটবল, মঠবাড়িয়া উপজেলায় সাঁতার, ফুটবল ও কাবাডি, কাউখালী উপজেরায় কাবাডি ও হ্যান্ডবল, নাজিরপুর উপজেলায় হ্যান্ডবল ও এ্যাথলেটিকস, ভান্ডারিয়া উপজেলায় এ্যাথলেটিকস ও ক্রিকেট এবং নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলায় ব্যাডমিন্টন ও ফুটবল অন্যতম।
তবে, মাঠ নিয়ন্ত্রণ কমিটির মনোভাব অসহযোগিতাপূর্ণ বলে অভিযোগ খেলোয়ারদের। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার পাশাপাশি আর্থিকভাবে দুর্বলদের জন্য ক্রীয়া সংস্থায় সরঞ্জামাদি বাড়ানোর দাবি তাদের।
প্রশিক্ষক ও সরঞ্জামের অভাবের কথা স্বীকার করেছেন জেলা ক্রীড়া কর্মকর্তা নরেশ গাইন। অন্যদিকে, এসব সমস্যার কথা পাশ কাটিয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাওলা নকীব দোষ চাপান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্রীড়া শিক্ষকদের প্রতি। তিনি বলেন, প্রতিটি স্কুল-কলেজে ক্রীড়ার জন্য আলাদা শিক্ষক থাকলেও তারা ছাত্র-ছাত্রীদের খেলাধূলার জন্য কোনো উৎসাহ দেন না। বরং তারা প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে স্কুল পর্যায় থেকে ভালো খেলোয়ারও বের হচ্ছে না।
এদিকে, ছাত্র ও যুবসমাজকে খেলার মাঠমুখী করতে না পারায় তারা ধীরে ধীরে মোবাইল, ভিডিও গ্রেম, ফেজবুকে আসক্ত হয়ে পড়ছে। সেই সাথে মাদকের সেবনের পথেও চলে যাচ্ছে একটা অংশ।
