ভান্ডারিয়ায় গাজীপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ
জেলার ভান্ডারিয়া পৌর শহরের গাজীপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হাই এর বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্য ও প্রতিষ্ঠানে র্দীঘদিন ধরে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, গাজীপুর দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা আব্দুল হাই মাদ্রাসার অফিস সহকারী ও এম.এল.এস.এস (দপ্তরী) দুটি পদে নিয়োগে প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের কথা বলে ১০ লাখ টাকা নিয়ে অত্মসাৎ, মাদ্রাসার শিক্ষক মোসলেম উদ্দিন ১৯৯৬ সালের মৃত্যুর পরে তার বেতন অবৈধভাবে উত্তোলন করে আত্মসাৎ করা সহ প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক ৫ লাখ টাকা মুল্যের শতাধিক মেহগনি ও রেন্ট্রি গাছ কেটে অবৈধভাবে বিক্রির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। এসব ঘটনায় স্থানীয় বাসিন্দা মাকসুদা বেগম ও স্থানীয় অর্ধশত এলাকাবাসী ভান্ডারিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রতিষ্ঠানের সুপার আব্দুল হাই ও শারীরিক শিক্ষক আকবর আলীর দুর্নীতি ও অনিয়মে বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পেয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন গত ২৪ ডিসেম্বর সরেজমিনে তদন্ত করেছেন।
ভুক্তভোগি মো. বজলুর রহমান জানান, মাদ্রাসা সুপার তার স্ত্রীকে মাদ্রাসার অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেয়ার জন্য ৫ লাখ টাকা চুক্তি করে এবং ২ লাখ ৫০ হাজার এবং তার জমির গাছ বিক্রি করে ১ লাখ টাকা নিয়ে আত্মসাৎ করেও চাকুরী দেয়নি। অত্র মাদ্রাসার সাবেক ছাত্র ভুক্তভোগি জাহিদুল ইসলাম কবির জানান, এই মাদ্রাসায় দপ্তরী পদে চাকুরীর আশায় ১৭ বছর বিনা বেতনে কাজ করার পরও মাদ্রাসা সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি দপ্তরী পদের জন্য ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে তাদের নির্দেশে মাদ্রাসার শারীরিক শিক্ষক আকবার আলীর কাছে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়েও তার চাকুরী হয়নি, পুরো টাকাই আত্মাসাৎ করে ওই চক্র। ফলে তাকে পথে বসতে হয়েছে।
অপর ভুক্তভোগি মাকসুদা বেগম জানান, অফিস সহকারী পদে গত ১৭ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার ব্যাপারে তাকে কোন অবগতি করা হয়নি এবং অত্র মাদ্রাসায় পরীক্ষার স্থান ধার্য্য থাকলেও মাদ্রাসা সুপার বে-আইনিভাবে ভান্ডারিয়া উপজেলায় বসে কৌশলে পরীক্ষা নেয় এবং তাদের পছন্দের লোক নিয়োগ দেয়। এতে অনেক প্রার্থীই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারেনি।
মাদ্রাসার বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য মাইনুদ্দীন তালুকদার জানান, ক্ষমতার ভলে মাদ্রাসার পুরাতন গাছ কেটে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি ও মাদ্রাসা সুপার তাদের বাড়ির খাট-আলনা, আলমিরা বানিয়েছেন এবং বাকী গাছ অবৈধভাবে বিক্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানে কোন টাকা জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন।
এ বিষয়ে গাজীপুর দাখিল মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল হাই ও শারীরিক শিক্ষক আকবর আলী বলেন, তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সর্ম্পূণ মিথ্যা। তারা কোন দুনীতি করেন নি বলে দাবি করেন।
