সুন্দরবনে বন্দুকযুদ্ধে
বনদস্যু সুমন বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত ॥ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়ার চরে র্যাব-৮ এর সাথে বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু সুমন বাহিনীর ৩ সদস্য নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে এই বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বন্দুক যুদ্ধের পর র্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল তল্লাশী চালিয়ে বনদস্যুদের ব্যবহৃত ২টি একনালা বন্দুক, ১টি কাটা রাইফেল, ১টি পাইপগান, ৩৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৩টি গুলি রাখার বান্ডুলিয়া, ২টি দেশীয় ধারালো ছুরি, ২টি দেশীয় তৈরি রামদাসহ বিপুল পরিমান রসদ সামগ্রী উদ্ধার করে। নিহতরা দস্যুরা হলেন, বনদস্যু সুমন বাহিনীর সক্রিয় সদস্য মোঃ জাকারিয়া সরদার (৩০), মোঃ জুলফিকার শেখ (৩৫), মোঃ খোকন মিনা (৪৩)। এদের বিস্তারিত পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
র্যাব-৮ এর কর্মকর্তা মেজর সোহেল রানা প্রিন্স এক ক্ষুদে বার্তায় জানান, সুন্দরবনে জেলে অপহরণের খবর শুনে শরনখোলা রেঞ্জের সুখপাড়ার চরে র্যাব-৮ এর একটি দল অভিযান শুরু করে। এ সময়ে সুন্দরবনের ভিতরে লুকিয়ে থাকা বনদস্যুরা র্যাবের উপর গুলি বর্ষন করে। একপর্যায়ে র্যাবও পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় একঘন্টা বন্দুকযুদ্ধের পর বনদস্যুরা সুন্দরবনের গহীনে পালিয়ে যায়। পরে ওই এলাকায় তাল্লাশি করে তিন বনদস্যুর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে র্যাব। এ সময়ে ঘটনাস্থল থেকে ২টি একনালা বন্দুক, ১টি কাটা রাইফেল, ১টি পাইপগান, ৩৯ রাউন্ড বন্দুকের গুলি, ৩টি গুলি রাখার বান্ডুলিয়া, ২টি দেশীয় ধারালো ছুরি, ২টি দেশীয় তৈরি রামদাসহ বিপুল পরিমান রসদ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। পরে স্থানীয় বনজীবী ও জেলেরা গুলিবিদ্ধ লাশগুলি বনদস্যু সুমন বাহিনীর সদস্য জাকারিয়া সরদার, জুলফিকার শেখ ও খোকন মিনা বলে সনাক্ত করে বলে র্যাব জানায়। উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরনের উদ্দেশ্যে বাগেরহাটের শরনখোলা থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে র্যাব জানায়।
