প্রধান সূচি

পিরোজপুরে ধর্ষণ মামলায় দু’জনের যাবজ্জীবন ও একজনের সাত বছরের জেল

ষ্টাফ রিপোর্টার :

পিরোজপুরের ধর্ষণ মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন এবং একজনকে সাত বছরের জেল দিয়েছে আদালত। এছাড়া আদালত সাজাপ্রাপ্ত তিনজনকেই জরিমানা করেছেন। রবিবার দুপুরে পিরোজপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক এস এম জিল্লুর রহমান এ আদেশ দেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার কালিকাঠি গ্রামের ফরিদ মহাজনের ছেলে মোঃ তছলিম হাসান বাপ্পি মহাজন (২৩), বাপ্পির বন্ধু একই এলাকার ইনছাফ আলী মহাজনের ছেলে মোঃ ইমরান মহাজন (২২) এবং বাপ্পির পিতা মোঃ শহিদুল ইসলাম ফরিদ মহাজন (৪৯)।

আদালত বাপ্পি ও ইমরান প্রত্যেককে এক লক্ষ টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং ফরিদকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারদন্ডাদেশের আদেশ দেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার কালিকাঠী গ্রামের স্কুল পড়–য়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে বাপ্পি। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সে প্রায়ই তার বন্ধু ইমরাণের সহযোগিতায় মেয়েটিকে ধর্ষণ করতো। এ ঘটনায় ২০১৩ সালে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। পরবর্তীতে বিয়ের কথা বলে ওই স্কুলছাত্রী ও তার বাবাকে ঢাকায় নিয়ে যায় হাসানের বাবা ফরিদ মহাজন। সেখানে কৌশলে মেয়েটির গর্ভপাত করিয়ে তাদের আবারও গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় ফরিদ। এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ৩ জুন মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে পিরোজপুর সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

রায় ঘোষণার সময় আসামীরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালত এই মামলা থেকে হাসানের মা তসলিমা বেগম ও আরেক আসামী জলিল মহাজনকে খালাস দিয়েছে।

 

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial