প্রধান সূচি

শ্রীরামকাঠী ইউপি নির্বাচন নিয়ে শংকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী

ষ্টাফ রিপোর্টার :

পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি উত্তম কুমার মৈত্র প্রতিদ্বন্দ্বি এক স্বতন্ত্র প্রার্থী’র (আওয়ামী লীগ বিদ্রোহী) বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও চিহিৃত ডাকাতদের দিয়ে সংখ্যালঘু ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদান, বিভিন্নমূখী নাশকতা এবং নিরাপত্তার আশংকা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

বুধবার দুপুরে পিরোজপুর প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন পাওয়া আওয়ামী লীগ দলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী উত্তম কুমার মৈত্র অভিযোগ করে বলেন, পিরোজপুরের এক প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা স্থানীয় দলীয় মতামতকে প্রধান্য না দিয়ে গোপন বৈঠক করে নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রয়াত সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মালেক বেপারীর ছেলে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারশ প্রতিক) মোঃ মিজানুর রহমান রিপনকে দলের বিপরীতে চ্যলেঞ্জ হিসেবে দাড় করিয়েছেন। তাই আসন্ন উপ-নির্বাচনটি প্রভাবমুক্ত ও প্রশ্নবিদ্ধ না হয় এ লক্ষ্যে প্রশাসন এবং আইন শৃংখলা বাহিনী যাতে নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালন করেণ তার দাবী করেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী।

লিখিত অভিযোগে প্রার্থী উত্তম কুমার আরও জানান, ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী এলাকায় দুর্ধর্ষ ডাকাত আঃ হক, টপ টেরর ধর্ষন মামলার আসামী নিজাম সরদার ও মনির সিকদার ও দাগী সন্ত্রাসী সাইফুল বেপারীসহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের আনাগোনা বৃদ্ধিসহ অবৈধ অস্ত্রের মহড়া বৃদ্ধি পাওয়ায় বিভিন্ন হিন্দু এলাকার ভোটারদের মধ্যে ভীতি ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী) মোঃ মিজানুর রহমান রিপনের চাচাতো ভাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কর্মকর্ত লেঃ কর্নেল মোঃ জিয়াউল হাসান কাঞ্চন ছুটিতে এলাকায় এসে ভোটারদের মাঝে নানাভাবে প্রভাব বিস্তার করে চলছে। এসব বিষয়ে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী উত্তম মৈত্র গত ৪ এপ্রিল নাজিরপুর থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এছাড়া গতকাল বুধবার পিরোজপুর পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার এবং নাজিরপুর উপজেলা নির্বাচন অফিসারের কাছে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। অন্যদিকে, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা (বর্তমানে বিজিবিতে কর্মরত) মোঃ জিয়াউল হাসান কাঞ্চনের বিরুদ্ধে ইউপি নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গনের অভিযোগ এনে সেনা প্রধান এবং বিজিবি মহা পরিচালক বরাবর গতকাল বুধবার অভিযোগ পত্র প্রেরণ করেছেন বলে জানান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী উত্তম কুমার মৈত্র।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি ইউনিয়নের ৪,৫,ও ৬ নং ওয়ার্ডকে অধিকতর ঝুঁকিপূর্ন উল্লেখ করে নির্বাচনের দিন বিজিবি, র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের মাঠে থাকার জন্য অনুরোধ জানান।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীর স্ত্রী রেবা রানী হালদার, নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যানন্দ হালদারসহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী ও তার সমর্থকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে, আওয়ামী দলীয় প্রার্থী উত্তম কুমার মৈত্র’র আনীত অভিযোগ পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুইনা এবং নির্বাচনে ওই প্রার্থী’র ভরাডুবির আশংকা রয়েছে উল্লেখ করে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পিরোজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য এ কে এম এ আউয়াল জানান, চেয়ারম্যান প্রার্থী উত্তম বেসরকারি সংস্থা ব্রাকে কর্মরত, তিনি আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য নয় এবং দলীয় কোন কর্মকান্ডেও তাকে পাওয়া যায়না।

উল্লেখ্য, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এম এ মালেক বেপারী মৃত্যুবরণ করলে এ পদটি শূন্য হয়। আগামী ১৬ এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া উপজেলার দেউলবাড়ি ও কলারদোয়ানিয়া ইউনিয়নের মেয়াদ শেষ হওয়ায় একই দিন সেখানে সাধারন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

Please follow and like us:





উত্তর দিন

Wordpress Social Share Plugin powered by Ultimatelysocial